Bidyasagar O Obidyasagar
প্রাতঃস্মরণীয় বিদ্যাসাগরকে নিয়ে ঢাউস ঢাউস দ্বিশতজন্মবার্ষিকী সংখ্যাগুলিতে বহুক্ষেত্রেই আমরা যেটি পাই গোদা বাংলায় সেটিকে বলে চর্বিতচর্বণ।
নতুন কোনও আলোকপাত, নতুন কোনও বিশ্লেষণ কদাচিৎ মেলে। ইদানীং তো সংবাদপত্রের রবিবারের ক্রোড়পত্রে তাঁর চরিত্রের নানা কুৎসা, কেচ্ছাকাহিনী অতিরঞ্জিত করে তুলে ধরেছেন এক বিকারগ্রস্ত লেখক। মদনমোহন তর্কালঙ্কারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে যারপরনাই বিষিয়ে তুলেছেন। বঙ্গীয় পণ্ডিতগণ বিদ্যাসাগর সম্পর্কে যেসব মনগড়াকাহিনী লিখে গেছেন পরবর্তীকালে তা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তিনি যে শৈশবে কলকাতার রাস্তার গ্যাসের আলোর নীচে পড়াশুনা করতেন, ঠাকুরদাসের তেল কেনার সামর্থ্য ছিল না বলে, তা পরবর্তীকালে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কলকাতায় তখন গ্যাসের আলোর প্রচলন হয়নি। কলকাতা পুরসভার পুরনো নথি ঘেঁটে এসব দেখা গেছে। রাস্তায় মশালের আলো, বাড়িতে রেড়ির তেলের সেজের সময় তখন, রাস্তায় কেরোসিনের আলো আসতে ঢের দেরি। দেরি আছে আমাদের জ্ঞানচক্ষু উন্মীলিত হ’তে। আশা করি কিছু ভুল ধারণার অবসান হবে এই বইটির মাধ্যমে।কচি পাতা থেকে প্রকাশিত হতে চলেছে অসিত দাস বিরচিত “বিদ্যাসাগর ও অবিদ্যাসাগর”
প্রকাশকালঃ ২০শে জানুয়ারি, ২০২২