Kochi Pata Sharod 1431
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তার মধ্যে ওতপ্রোতভাবে যে উৎসবটি বাঙালি জীবনের সাথে একাত্ম হয়ে আছে তা হল দুর্গাপূজা। ‘দুর্গা’ নামটি শুনলেই আমাদের অবচেতনে দৃষ্টিগোচর হয় মহিষাসুরমর্দিনী সেই দেবপ্রতিমা, যার দশ হাতে রয়েছে দশরকম অস্ত্র এবং তাকে দু’পাশে ঘিরে রেখেছেন লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক ও সরস্বতী। অতি পরিচিত এই ভুবনমোহিনী মাতৃরূপ আবার স্থানবিশেষে বিভিন্নতার প্রকাশ ঘটিয়েছে। কেবলমাত্র মূর্তিতে নয়, মায়ের রূপ, মায়ের কথা ফুটে উঠেছে বিভিন্ন পটচিত্র ও অন্যান্য বিভিন্ন শিল্পকর্মেও। মহিষাসুরমর্দিনী মা কখনো উগ্ররূপে সংহার করছেন, কখনো আবার হয়ে উঠছেন বাড়ির মেয়ে। বাঙালি সংস্কৃতির এইরূপই তাঁদের উচ্চতর স্থানে আসীন করেছে। বাড়ির মেয়ে বাড়িতে আসার সাথে যে আহ্বানপত্র বাতাসে ভেসে আসে, সেটিকেই আমরা শারদসংখ্যারূপে গণ্য করতে পারি যেখানে কলমের ছোঁয়ায় নবরূপে উদ্ভাসিত হয় শব্দের ঝমঝম। শব্দের সেই অনুরণন প্রতিবারের ন্যায় এবারেও শোনা যাচ্ছে ‘কচি পাতা’ নিবেদিত ‘শারদ সংখ্যা ১৪৩১’-এ, যেখানে এবারে শুনতে পাওয়া যাচ্ছে বাংলার লোকসংস্কৃতির কথা।