Mithushilay Hottogol by Pobitra Chakraborty
১২৪০০ আলোকবর্ষ পেরিয়ে পৌঁছতে হয় মিথুশিলা নামক গ্রহে। ১৪ বিলিয়ন বছর প্রাচীন এই গ্রহে অ্যাটলাস থাকে। ফানেলের মতো দেখতে মহাকাশযানে চড়লেই হুহু করে টানতে থাকে ওপরের দিকে। ওখানকার একচোখো বাসিন্দাদের ভাষা বোঝা ভারি মুশকিল। তবে মজার কথা হল, মাইনাস ২১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হওয়া সত্ত্বেও ঠান্ডার লেশমাত্র নেই সেই গ্রহে।
ডাঃ চিন্তামণি পাকড়াশি ওরফে হরিদা, গভীর মনোযোগ দিয়ে গবেষণা করে চলেছেন। হরিদা কিন্তু সেই বাসিন্দাদের মুখে ফুটিয়েছেন ‘চিন্তামণি’ ভাষা।
কী করেননি হরিদা? সৌরজগতে দুর্ঘটনায় মৃত মানুষদের মিউজিয়ম বানানো থেকে শুরু করে দুর্গাপুজো মায় বইমেলা পর্যন্ত করেছেন সেই মিথুশিলার মাটিতে!!
অবিবাহিত ভবঘুরে স্বভাবের এই মানুষটির গবেষণায় উঠে আসছে আজ থেকে ৫০-৬০ বছর বাদে পৃথিবী এবং মিথুশিলার হাল-হকিকৎ।
প্রকাশিত হতে চলেছে পবিত্র চক্রবর্তী বিরচিত ও কচি পাতা নিবেদিত “মিথুশিলায় হট্টগোল”। ভূমিকা লিখেছেন কিশোর ভারতী পত্রিকার কার্যনির্বাহী সম্পাদক ও বিশিষ্ট লেখক চুমকি চট্টোপাধ্যায় মহাশয়া।
এই বইটির যেটা বিশেষত্ব সেটা হল, বিজ্ঞানভিত্তিক কল্পনা এবং প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মজা। অর্থাৎ, হাসির মোড়কে কল্পবিজ্ঞান। ডবল মজা! অনেকটা বিরিয়ানির প্যাকেটে ডিম থাকলে যেমন হয় তেমনটা। ভেবেই আমার মজা লাগছে। বন্ধুরা, তোমরা যারা পড়বে তারাও যে অত্যন্ত আনন্দ পাবে তা বলতে দ্বিধা নেই।
‘আত্মারা যখন অন্য গ্রহে’, ‘এবার পুজো মিথুশিলায়’, ‘মিথুশিলায় মিউজিয়াম’, ‘নিউমা হোল্ডারে আত্মারা’ এবং ‘মিথুশিলায় বই উৎসব এবং ‘ব্রহ্মশঙ্খ’ - এই পাঁচটি গল্পের সংকলন ‘মিথুশিলায় হট্টগোল’ পাঠকের ভালোবাসা পাবে, এ আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।